পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উৱসব মুখর
পুরাতনকে ভুলে সামেন এগিয়ে যাওয়ার আহবান

স্টাফ রিপোর্টারঃ
নতুন বছরের ফিকে আকাশ রং পাল্টাতেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বৈশাখী চত্বের ১৪১৬ সালের প্রত্যাশার সূর্য চক চক করছিল যেন। বর্ষবরণের ঢোল বেজে উঠেছে, আরো একবার সহজাত সঙ্গী সেই রবীন্দ্রনাথ। 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো' গেয়ে পবিপ্রবির শিল্পীদল বরণ করে নিল নতুন বাংলা বছর। জীর্ণ, পুরাতন সব মুছে দিয়ে নতুনের কেতন উড়িয়ে এসেছে বৈশাখ। নানা আয়োজনে পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারাদেশ মেতে ঊঠেছে তারই আবাহনে।
মঙ্গলবার ভোরে সুজনী বিদ্যানিকেতনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালেয় শুরু হয় বর্ষবরণের পর্ব।এরপর সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্নয়ে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীর নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর আ.ক.ম. মোস্তফা জামান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রবিউল হক ও প্রক্টর মোহাম্মাদ আলী। র্যালীতে শিক্ষার্থীরা পালকি, ঢেকি, কুলা, বিভিন্ন পুশু-পাখির মুখোশসহ বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়কসহ স্থানীয় দুমকি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। র্যালী শেষে একটি বটের চারা রোপন করে বৈশাখী চত্বরের উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেন প্রফেসর আ.ক.ম. মোস্তফা জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রবিউল হক ফিটো, প্রক্টর মোহাম্মদ আলী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, পবিপ্রবি শাখা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ও বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আহমাদ রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বর্ষ বরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রপেসর ড. আ.ক.ম. মোস্তপা জামান বলেন, নতুন বছরটি হবে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বছর।
এছাড়া বিকালে ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতকাল পবিপ্রবি শাখা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি আহমাদ রাসেল এক শুভেচ্ছা বার্তায় দেশের সকল নাগরিকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বার্তায় আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বছরটি হবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দিপ্ত সপথের বছর।