বুধবার, ৮ জুলাই, ২০০৯

পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্নাঢ্য আয়োজনে ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্নাঢ্য আয়োজনে ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে

-প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা

পিএসটিইউ নিউজ রিপোর্টঃ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার প্রথম বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ক্যাম্পাসে বসেছিল নবীন-প্রবীনের মিলন মেলা। ক্যাম্পাস সেজেছিল বর্নিল সাজে। গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

সকাল ১০টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, উদ্বোধনী ফেস্টুন ও পায়রা অবমুক্তকরন এবং র‌্যালীর মাধমে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহজাহান মিয়া, জাতীয় সংসদের হুইপ আসম ফিরোজ, গোলাম সবুর টুলু, গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ। সকাল সাড়ে ১১টায় ‘দারিদ্র বিমোচনে খাদ্য নিরাপত্তা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ ফেরদৌস আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বিগত জোট সরকার আমলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিশেষ থোক বরাদ্দের ব্যবস্থা করো হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিভিএম অনুষদের ডীন প্রফেসর আকম মোস্তফা জামান, প্রক্টর মোহাম্মাদ আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার, আহসান হাবীবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও মহাজোটের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বিগত সরকারের আমলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকুরী বাতিল ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকদের নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ দেওয়া হলেও তা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকদের থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচী হিসেবে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সময়ের গতিধারায় বিশ্ববিদ্যালয়টি শৈশবে অবস্থান করলেও উচ্চশিক্ষা বিস্তারে অপরিসিম ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই পার করেছে ৯টি বছর। বৃহস্পতিবার ১০ বছরে পা রাখছে দক্ষিণাঞ্চলের এই গর্বিত প্রতিষ্ঠনটি।

এদিকে, বুধবার পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলেক্ষে PSTU News সম্পাদক আহমাদ রাসেল বানীতে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এরই সাথে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদারীপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।