রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০০৯

চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে ছয় প্রকল্প


চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে ছয় প্রকল্প

চট্টগ্রাম, এপ্রিল ২৫(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--- চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে প্রায় 
দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান কমোডোর আর ইউ আহমদ। 

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের গতিশীলতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান। 

স¤প্রতি কর্ণফুলী চ্যানেলে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে দেশের প্রধান বন্দরে নজিরবিহীন অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার প্রে
ক্ষাপটে এ উন্নয়ন প্রকল্পের কথা জানানো হলো। 

প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, এ ছয়টি প্রকল্প হচ্ছে বন্দরের পানগাঁওয়ে ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল, ১১৪ কোটি টাকার নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের পশ্চাদসুবিধা, ৩৭ কোটি টাকার কম্পিউটারাইজড কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্জ্য অপসারণ জাহাজ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপন, কর্ণফুলী নদীতে ৪১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং বন্দরের ১১-১৩ নম্বর জেটিতে ৮২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ। 

বন্দর চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, আগামী বছরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, "বন্দরের বর্তমান উন্নতিতে খুশি হলেও আমরা তৃপ্ত নই। আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন শুরু হলে বন্দর আরও গতিশীল হবে।" 

কমডোর আহমদ বলেন, ২০০৬ সালের তুলনায় বন্দরের ক্ষমতা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। অথচ প্রতি বছর ট্রেড ভলিউম (আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন) বাড়ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বন্দরের বর্তমান ক্ষমতা ও দক্ষতা ব্যবহার করেই ট্র্যানজিট সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়বে। 

মতবিনিময়কালে বন্দর সদস্য ক্যাপ্টেন জোবায়ের আহমদ, ক্যাপ্টেন এস আরিফ মাহমুদ, হারুন মিয়া, উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন নাজমুল আলমসহ অন্যান্য উর্ধতন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

চেয়ারম্যান বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমের নানা অগ্রগতিও তুলে ধরেন। 

চেয়ারম্যান তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০০৬ সালে বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল ছিল ৭ দশমিক ১ দিন যা বর্তমানে ২ দশমিক ৪৮ দিনে নেমে এসেছে। একইভাবে ২০০৬ সালে প্রতিটি কনটেইনারের গড় অবস্থানকাল যেখানে ২৬ দশমিক ছয় দিন ছিল সেখানে ২০০৮ সালে ১৮ দশমিক ২৮ দিনে নেমে এসেছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। দক্ষ জনশক্তির অভাব পূরণ করতেও কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

আরেক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বন্দরে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম চালু করার ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই। 

ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত বলে তিনি মত দেন। 


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/এসকে/২১০৭ঘ.