শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০০৯

সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব

সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব

ইউএনএস (ঢাকা) ২৬জুন : বিশ্ব শিশুশ্রম দিবস উপল েআয়োজিত আলোচনা বক্তারা বলেছেন, জনগনকে শিতি করে গড়ে তুলতে পারলে শিশুশ্রম কমে আসবে। সরকার ইতোমধ্যে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে শিা বিস্তারের ল্যে নানামুখী পদপে নিয়েছে। এই কাজের সফলতার জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেছেন। লালবাগ কর্মজীবী শিশূ উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আজিমপুর নিপের্াট অডিটরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেভ দি চিলড্রেন ইউকে ও বেসরকারী সংস্থা প্রদীপনের সহযোগিতায় এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ আনিস হোসেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। এছারাও উপস্থিত ছিলেন সেভ দি চিলড্রেন ইউকে এর সহকারী কান্ট্রি ডাইরেক্টর সায়মা আনোয়ার, চাইল্ড লেবার ওয়াচ ফোরামের খায়রুজ্জামান কামাল, প্রদীপনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জদুর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড কমিশনার হুমায়ুন কবির, ডা. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, হাজি জাকির হোসেন, আব্দুল মতিন প্রমূখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে শিশুশ্রম বন্ধে পদপে নিয়ে। ডিগ্রী পর্যন্ত বিনাবেতনে শিার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এই কাজে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, অভিভাবক, কারখানা মালিক, কারখানা মালিক সমিতি, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সকলকে কর্মজীবী শিশুর সুরায় ও শিশু শ্রম বন্ধে নিরলসভাবে ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। এবিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য আশ্বস্ত করেন। বক্তারা বলেন, শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের যে নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু দারিদ্রতা, দূযের্াগ, পরিবারের অধিক সন্তান গ্রহনের মানসিকতা, কার্যকর মানসম্পন্ন শিার অভাব, পরিবারের অবহেলা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার অভাবের কারণে আজকের শিশুরা নানা ধরণের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক চাহিদা পুরনের জন্যই শিশুরা প্রতিনিয়ত ঝুকিঁপূর্ণ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। যার ফলে এ সকল শিশুর শারীরীক, মানসিক ও নৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বক্তারা শিশু শ্রম বন্ধ করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।